বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস
Hepatitis can’t wait ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে জনস্বাস্থ্যের হুমকিস্বরূপ ভাইরাল হেপাটাইটিস কে নির্মূল করার প্রত্যয়ে পালিত হচ্ছে এইবারের বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস । হেপাটাইটিস এবং এর প্রতিরোধ ও চিকিৎসার নানা পদ্ধতির বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) উদ্যোগে ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর ২৮ জুলাই এ দিবস পালিত হয়ে আসছে ।‘হেপাটাইটিস ভাইরাস’ সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশেও আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস।

মানুষের স্বাস্থ্যকে বিপন্ন করার অন্যতম অসুখের নাম হেপাটাইটিস বা যকৃতের প্রদাহজনিত অসুখ। কয়েকটি অন্য কারণ ছাড়া হেপাটাইটিস হয় মূলত যকৃত বা লিভারে ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে। হেপাটাইটিস-এ, বি, সি, ডি এবং ই— এই পাঁচটি ভাইরাস চিহ্নিত করা গিয়েছে। হেপাটাইটিস-এ এবং ই সংক্রমিত হয় দূষিত খাদ্য ও পানীয়ের মাধ্যমে। আর হেপাটাইটিস-বি, সি এবং ডি সংক্রমিত হয় রক্তের মাধ্যমে যা অশুদ্ধ ইঞ্জেকশন সুচ ব্যবহার, সংক্রমিত রক্ত গ্রহণ, সেলুনে ও উল্কি আঁকার সময়ে শুদ্ধতার অভাব— ইত্যাদির মাধ্যমে রক্তে পৌঁছাতে পারে।
বিভিন্ন ধরনের ভাইরাল হেপাটাইটিসের মধ্যে সবথেকে বিপজ্জনক হেপাটাইটিস-বি এবং সি। কারণ, এই দু’ধরনের ভাইরাস থেকে অসুখ হলে চরম অবস্থা বেশ বিপজ্জনক হয়। আবার এই দু’টি ভাইরাস থেকে নিরাময়-অযোগ্য ক্রনিক হেপাটাইটিসও হতে পারে। আবার ক্রনিক হেপাটাইটিস থেকে হতে পারে লিভার সিরোসিস, লিভারের ক্যানসার। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতিবছর প্রায় ১.৩মিলিয়ন মানুষ হেপাটাইটিস বি এর কারণে মৃত্যুবরণ করে। কোভিড-১৯ এর এই মহামারীর সময়েও ভাইরাল হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হয়ে প্রতি ৩০ সেকেন্ডে একজন মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে।
বাংলাদেশে হেপাটাইটিস সংক্রমণকে এক নীরব ঘাতক হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে দেখা যায়, বাংলাদেশে হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাসে প্রায় এক কোটি মানুষ আক্রান্ত। বেসরকারি হিসেবে হেপাটাইটিসে প্রতি বছর ২০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয় বাংলাদেশে। এই হার কমানোর লক্ষ্যে সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিট এর উদ্যোগে প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার হেপাটাইটিস বি এর টিকাদান কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
**ভ্যাক্সিন হেপাটাইটিস-বি
-ডোজ -০,১,২,১২ ,মাস
-মূল্য -৫০০/=(মেডিকেল স্টুডেন্ট, ডাক্তার,নার্স)
-৫৫০/=(নন-মেডিকেল)
-স্ক্রিনিং চার্জ-১০০/=(১ম ডোজের সময়)
প্রতিকার নয় প্রতিরোধ হোক রোগ নিরাময়ের হাতিয়ার। আসুন সকলে এই ভয়াবহ প্রাণঘাতী রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি।
Related posts
- No related posts.