আজ ১লা আগস্ট, বিশ্ব ফুসফুস ক্যান্সার দিবস।
সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও পালন করা হচ্ছে বিশ্ব ফুসফুস ক্যান্সার দিবস।
আমাদের দেশের মোট জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশই ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত। ২০২০ সালে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ২.২ মিলিয়ন ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত নতুন রোগী পাওয়া গেছে এবং ১.৮ মিলিয়ন মৃত্যু ফুসফুস ক্যান্সারের কারণে হয়েছে।
ফুসফুস ক্যান্সারের কারণসমূহ :
প্রচন্ড ধূমপায়ী এবং র্যাডনের সংস্পর্শে থাকা লোকেরা ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বহন করে। বিশেষত দীর্ঘ সময় ধরে বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থ গ্রহণ করাও ফুসফুস ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। অ্যাসবেস্টস এবং বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শের কারণেও ঘটে থাকে।
ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৯ জনই পাওয়া যায় ধূমপায়ী বা প্রাক্তন ধূমপায়ী। আর অল্প বয়সে ধূমপান শুরু করলে এ ঝুঁকি আরও বেশি থাকে। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় দুই গুণ বেড়ে যায়।
লক্ষণ :
•প্রচন্ড কাশি
•কাশিতে কফ বা রক্ত
•গভীর শ্বাস, হাঁচি বা কাশি চলাকালীন বুকে তীব্র ব্যথা
•শ্বাসকষ্ট
•দুর্বলতা এবং ক্লান্তি
•ক্ষুধামান্দ্য
•দ্রুত ওজন হ্রাস
•রক্তস্বল্পতা
প্রতিরোধ :
ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো ধূমপান ত্যাগ করা ও তামাক সেবন থেকে বিরত থাকা। এমনকি ধূমপায়ীর নিকটে অবস্থান করা থেকেও বিরত থাকতে হবে এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। শিল্প কারখানা ও গাড়ির কালো ধোঁয়া নির্গমন গ্রহণযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে আনা জরুরি। বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ যেমন- ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়াম, অ্যাসবেস্টস ইত্যাদির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা উচিত।
প্রতিকার :
ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল অস্ত্রোপচার, কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশন থেরাপি। টার্গেটেড থেরাপি বর্তমানে ব্যবহার হয়ে থাকে। প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করা গেলে রোগ প্রতিকার করা সহজ হয়।