বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ'২১
“Spread Awareness, Stop Resistance” এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে আজ ১৮ নভেম্বর থেকে আগামী ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী “বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ’২১” পালিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিট এই সপ্তাহ কে কেন্দ্র করে নানান জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের আয়োজন করতে যাচ্ছে। মূলত ৪ টি উদ্দ্যেশ্য সফল করার লক্ষ্যে এই সপ্তাহব্যাপী আয়োজন। উদ্দ্যেশ্য ৪ টি হলঃ
ক. সাধারণ জনগণের প্রত্যেককেই অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (AMR) সম্পর্কে সচেতনতা করা ।
খ. যেকোনো এন্টি মাইক্রোবায়োটিক সঠিক মাত্রায় গ্রহণে উৎসাহিত করা ।
গ. এন্টি মাইক্রোবিয়াল রেসিসটেন্স কমাতে ব্যক্তি,পরিবার , সমাজ , সরকার পর্যায়ে সকলের এগিয়ে আসা এবং জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা গড়ে তোলা ।
ঘ. যেকোনো ধরনের অসুখে এন্টি মাইক্রোবায়োটিক ঔষধ গ্রহণের মানসিকতার পরিবর্তন ।
🔴অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ড্রাগ কি?
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ড্রাগ হল অনুজীব সংক্রমনের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ঔষুধ।উদাহরণস্বরপ ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবায়োটিক এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।অনুজীবের বিকাশ এবং সংখ্যাবৃদ্ধির ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করার মাধ্যমে এসব ড্রাগ কাজ করে থাকে।
🔴মাইক্রোব বা অনুজীব কিভাবে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিজট্যান্ট হয়ে উঠে?
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ঘটে যখন মাইক্রোব বা অনুজীব সময়ের সাথে নিজেকে জীবদেহে মানিয়ে নেয় এবং ড্রাগের প্রতি অকার্যকর হয়ে পড়ে যা চিকিৎসা করা কঠিন করে তোলে।এছাড়া রোগের বিস্তার,গুরুতর অসুস্থতা এবং মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়।
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ড্রাগগুলির অনুপযুক্ত ব্যবহার,ওষুধের গুণমান এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
🔴অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের কোর্স সম্পূর্ণ করা উচিত কেন?
সামান্য সুস্থতা অনুভব করলে অনেকেই অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের কোর্স বন্ধ করে দেন।এক্ষেত্রে দেখা যায় ক্ষতিকর কিছু অনুজীব দেহে থেকে যায় এবং জীবদেহের ভিতরে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিজট্যান্স তৈরি করে।যার কারনস্বরূপ রোগীর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং বিরতি নিয়ে অনুজীব দ্বারা পুনরায় অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
অতিরিক্ত, অপর্যাপ্ত ও অযৌক্তিক এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জীবাণুর উদ্ভব হচ্ছে। ফলে এন্টিমাইক্রোবিয়াল ড্রাগের কার্যকারীতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই, এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধ করতে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধে করণীয়গুলো হলোঃ
১. এন্টিবায়োটিক গ্রহণের আগে বিএমডিসি রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ নিন
২. নিয়ম মেনে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করুন এবং কোর্স সম্পন্ন করুন
৩. ইনফেকশন প্রতিরোধে ব্যাক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন
৪. ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সর্দি-কাশি,ভাইরাস জ্বর ও ডায়রিয়াতে এন্টিবায়োটিক নিবেন না
৫. ভাইরাসঘটিত রোগে এন্টিবায়োটিক কোন কাজ করেনা। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে রোগ নির্ণয়ের আগপর্যন্ত কোন এন্টিবায়োটিক খাবেন না।
৬. এন্টিমাইক্রোবিয়াল ড্রাগসমূহের যথেচ্ছ সেবন আপনার দেহে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তাই ইন্টারনেট বা মিডিয়া থেকে শোনা কোন ওষুধের নাম শোনামাত্র সেটা চিকিৎসকের পরামর্শব্যতীত সেবন করা থেকে বিরত থাকুন।
৭. কাঁচা দুধ পান করা থেকে বিরত থাকুন এবং মাছ মাংস আধা সেদ্ধ বা কাঁচা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
৮. বিনা প্রেসক্রিপশনে এন্টিবায়োটিক বিক্রি থেকে বিরত থাকুন
৯. পশুচিকিৎসক এর পরামর্শ ব্যতীত মাছ, হাস-মুরগী ও পশুর খামারে অপ্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিক ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
আসুন সচেতনতা গড়ে তুলি, নিজের ও নিজের সমাজের সকলকে নিয়ে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ি।
“হোক সচেতনতার বিস্তার, চাই এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স থেকে নিস্তার”
ক. সাধারণ জনগণের প্রত্যেককেই অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (AMR) সম্পর্কে সচেতনতা করা ।
খ. যেকোনো এন্টি মাইক্রোবায়োটিক সঠিক মাত্রায় গ্রহণে উৎসাহিত করা ।
গ. এন্টি মাইক্রোবিয়াল রেসিসটেন্স কমাতে ব্যক্তি,পরিবার , সমাজ , সরকার পর্যায়ে সকলের এগিয়ে আসা এবং জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা গড়ে তোলা ।
ঘ. যেকোনো ধরনের অসুখে এন্টি মাইক্রোবায়োটিক ঔষধ গ্রহণের মানসিকতার পরিবর্তন ।
🔴অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ড্রাগ কি?
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ড্রাগ হল অনুজীব সংক্রমনের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ঔষুধ।উদাহরণস্বরপ ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবায়োটিক এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।অনুজীবের বিকাশ এবং সংখ্যাবৃদ্ধির ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করার মাধ্যমে এসব ড্রাগ কাজ করে থাকে।
🔴মাইক্রোব বা অনুজীব কিভাবে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিজট্যান্ট হয়ে উঠে?
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ঘটে যখন মাইক্রোব বা অনুজীব সময়ের সাথে নিজেকে জীবদেহে মানিয়ে নেয় এবং ড্রাগের প্রতি অকার্যকর হয়ে পড়ে যা চিকিৎসা করা কঠিন করে তোলে।এছাড়া রোগের বিস্তার,গুরুতর অসুস্থতা এবং মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়।
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ড্রাগগুলির অনুপযুক্ত ব্যবহার,ওষুধের গুণমান এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
🔴অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের কোর্স সম্পূর্ণ করা উচিত কেন?
সামান্য সুস্থতা অনুভব করলে অনেকেই অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের কোর্স বন্ধ করে দেন।এক্ষেত্রে দেখা যায় ক্ষতিকর কিছু অনুজীব দেহে থেকে যায় এবং জীবদেহের ভিতরে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিজট্যান্স তৈরি করে।যার কারনস্বরূপ রোগীর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং বিরতি নিয়ে অনুজীব দ্বারা পুনরায় অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
অতিরিক্ত, অপর্যাপ্ত ও অযৌক্তিক এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জীবাণুর উদ্ভব হচ্ছে। ফলে এন্টিমাইক্রোবিয়াল ড্রাগের কার্যকারীতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই, এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধ করতে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধে করণীয়গুলো হলোঃ
১. এন্টিবায়োটিক গ্রহণের আগে বিএমডিসি রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ নিন
২. নিয়ম মেনে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করুন এবং কোর্স সম্পন্ন করুন
৩. ইনফেকশন প্রতিরোধে ব্যাক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন
৪. ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সর্দি-কাশি,ভাইরাস জ্বর ও ডায়রিয়াতে এন্টিবায়োটিক নিবেন না
৫. ভাইরাসঘটিত রোগে এন্টিবায়োটিক কোন কাজ করেনা। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে রোগ নির্ণয়ের আগপর্যন্ত কোন এন্টিবায়োটিক খাবেন না।
৬. এন্টিমাইক্রোবিয়াল ড্রাগসমূহের যথেচ্ছ সেবন আপনার দেহে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তাই ইন্টারনেট বা মিডিয়া থেকে শোনা কোন ওষুধের নাম শোনামাত্র সেটা চিকিৎসকের পরামর্শব্যতীত সেবন করা থেকে বিরত থাকুন।
৭. কাঁচা দুধ পান করা থেকে বিরত থাকুন এবং মাছ মাংস আধা সেদ্ধ বা কাঁচা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
৮. বিনা প্রেসক্রিপশনে এন্টিবায়োটিক বিক্রি থেকে বিরত থাকুন
৯. পশুচিকিৎসক এর পরামর্শ ব্যতীত মাছ, হাস-মুরগী ও পশুর খামারে অপ্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিক ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
আসুন সচেতনতা গড়ে তুলি, নিজের ও নিজের সমাজের সকলকে নিয়ে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ি।
“হোক সচেতনতার বিস্তার, চাই এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স থেকে নিস্তার”