ডেংগু সচেতনতা
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যু যখন গুরুতর আকার ধারণ করেছে ঠিক তখনই ডেংগু জ্বরের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে প্রতিনিয়ত।
ডেংগু হলে কি কি লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারেঃ
১. প্রচন্ড জ্বর ও মাথাব্যথা
২. শরীর ব্যথা
৩. চোখের পেছনে ব্যথা
৪. বমি বমি ভাব ও ডায়রিয়া
৫. ত্বকে লাল র্যাশ ও দানা দেখা দিতে পারে
৬. পেশিতে ও গাঁটে তীব্র ব্যথা
৭. শরীর ক্লান্ত ও দুর্বলবোধ
৮. চোখ ও নাক , মুখ দিয়ে রক্তপাত

এসব লক্ষণ দেখা দিলে খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
উল্লেখ্য একজন ব্যক্তি একই সাথে কোভিড-১৯ ও ডেংগু জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন। অনেক লক্ষণের মধ্যে মিল থাকলেও নিশ্চিতকল্পে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া জরুরী।আবার কারো পূর্বে ডেংগু হয়ে থাকলে দ্বিতীয়বার ডেংগু হলে তার জটিলতা অনেক বেশি হয়ে থাকে।
ডেংগু প্রতিরোধ ও প্রতিকারে আমাদের যেসকল সচেতনতা ও সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজনঃ
১. বাসাবাড়িতে জমে থাকা ময়লা নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
২. বাসাবাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখুন।
৩. বাড়ির চারপাশে কোথাও ( ফুলের টব, ডাবের খোসা ,পাত্র) পানি জমে থাকলে তা ফেলে দিন।
৪.ঘরের ভিতরে কোথাও যেন ৫ দিনের বেশি পানি জমে না থাকে (বিশেষ করে একুরিয়াম,ফ্রিজ, এসি এর নিচে)।
৫. ঘুমানোর সময় মশারী ব্যবহার করুন।
৬. শরীরের খোলা স্থানে মশারোধক ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
৭. ড্রেন, নালায় জমে থাকা ময়লা পানিতে মশারোধক স্প্রে করুন এতে মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস হয়ে যাবে।
৮. ডেংগু হয়ে গেলে শরীরের ব্যথা কমানোর জন্য অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খাওয়া যাবে না এতে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
৯. ডেংগু হয়ে গেলে পরিমিত বিশ্রাম ও পানিস্বল্পতা এড়াতে প্রচুর পরিমাণে তরল পান করতে হবে।
১০. বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
সাধারণত জুন-অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেংগু জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এসময় সচেতনতা ও সতর্কতাই পারে ডেংগুর প্রাদুর্ভাব রোধ করতে।
আসুন সচেতন হই, নিরাপদ থাকি, সুস্থ থাকি।
Related posts
- No related posts.